কন্যাকুমারীতে মোদির ধ্যানের কঠোর সমালোচনা মমতার

মত ও পথ ডেস্ক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।

কন্যাকুমারীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৪৮ ঘণ্টার ধ্যানে বসার কঠোর সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রচার পাওয়ার জন্য মোদি এটা করছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন কলকাতায় এসব কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তিনি আরও বলেন, এবার আর মোদি ফিরছেন না। তাঁর পতন হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আর বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কন্যাকুমারীতে ধ্যান শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি ঠিক করেছেন, দুদিন তিনি মৌনব্রতও অবলম্বন করবেন। মোদির সেই সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কের।

কংগ্রেস মনে করছে, এটা হলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও লঙ্ঘন করবেন। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি, রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা ও নাসির হুসেন বুধবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

কংগ্রেসের বক্তব্য, ধ্যান করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর অবশ্যই আছে। বিবেকানন্দ রকে গিয়ে তিনি দুদিন ধ্যানমগ্ন হতেই পারেন। মৌনব্রতও রাখতে পারেন। কিন্তু তা নিয়ে যেন টেলিভিশন বা অন্যান্য গণমাধ্যম প্রচার না করে। সেই নির্দেশ কমিশনকে দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে পদযাত্রায় অংশ নেন মমতা। উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় ও দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে এই পদযাত্রা হয়। গোলপার্ক, গড়িয়া বালিগঞ্জ হয়ে দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের গোপাল নগরে পদযাত্রাটি শেষ হয়।

শেয়ার করুন