বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’ কর্মসূচির মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট ইকোনমি- এই চারটি স্তম্ভ সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দিকে লক্ষ্য রেখে পথ চলছে আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রতিবছর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সেই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করেই স্মার্ট বাজেট ঘোষণা করে যাচ্ছে সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আগামী জুনে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে দ্বিতীয় বাজেট ঘোষিত হতে যাচ্ছে। তথ্য বলছে, আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় সংসদের বাজেটের আকার বেড়েছে। যা চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা বেশি। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ সচিবালয় কমিশনের বৈঠকে সংসদের পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ৩৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেছে সংসদ সচিবালয় কমিশন।
চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ৩২৪ কোটি ৬৭ লাখ ২১ হাজার টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট মহান জাতীয় সংসদে পেশ করবেন। এটি বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট হলেও বর্তমান সরকারের ২৫তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের বাজেট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুমোদিত এই সুষম বাজেট নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সুষম বাজেটের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ভিশন ও মিশন একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সুষম বাজেট নিয়ে আমাদের কিছু প্রত্যাশা ও ভাবনার সুযোগ রয়েছে।
বাজেট নিয়ে ভাবনার শুরুতে বলতে গেলে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই মুহূর্তে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই। এই সেক্টরে বাংলাদেশ যত বেশি সমৃদ্ধ হবে, স্মার্ট বাংলাদেশের পথচলা তত বেশি এগিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপরেখা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৈপ্লবিক ভূমিকা রেখেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের পর আমরা এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরের পথে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। যে কোনোভাবে এই খাতে করারোপ করা হলে সেটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। এমন বিবেচনায় স্থানীয় সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার প্রসার এবং সম্ভাবনাময় এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায়, আসন্ন বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে তাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করবে বলে প্রত্যাশা করছি।
পাশাপাশি, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ জনশক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। যে দেশে জনশক্তি বেশি দক্ষ, সে দেশ তত বেশি স্মার্ট। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের দক্ষ জনশক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ-বিবেচনায় প্রাধান্যের ভিত্তিতে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে যেসব মানুষ পারদর্শী ও পেশাদার, তাদের কদর পৃথিবীব্যাপী বেড়েই চলেছে।
তাই পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির বিষয়টি সামনে রেখে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবলের সমন্বয়ে স্মার্ট ইকোনমির ধারণা বর্তমানে একটি পরিজ্ঞাত বিষয়। তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে ৩ লাখ মানুষ সক্রিয়ভাবে আইসিটি খাতে কর্মরত রয়েছেন। এ ছাড়াও ৫ লাখ রেজিস্টার্ড ফ্রিল্যান্সার আইসিটি বিষয়ে কাজ করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জনবহুল বাংলাদেশে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে প্রযুক্তির মাধ্যমেই।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রয়োজন। মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, অনলাইনে মানি ট্রান্সফার, মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন প্রভৃতি এখন বেশ জনপ্রিয়। আসন্ন বাজেটে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে বলে বিশ্বাস করি।
এমন এক পরিস্থিতিতে এই বাজেট ঘোষিত হতে যাচ্ছে, যখন সারা বিশ^ই এক ধরনের মূল্যস্ফীতির ধাক্কা সামলাচ্ছে। বিশ^জুড়ে খাদ্য সংকটের মতো পরিস্থিতি চলছে। মূল্যস্ফীতির ধাক্কা আমাদের দেশেও আঘাত করেছে। তবে বেকারত্ব এবং এর থেকে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ বিদ্যমান। অর্থনৈতিক ক্ষতি, সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা এবং এর পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যের বাজারে উত্তাপ এবং এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে।
এর সঙ্গে রয়েছে বেকারত্ব দূরীকরণের উদ্যোগ হিসেবে চাকরির বাজার সৃষ্টি, শিক্ষায় অগ্রগতি বিশেষত নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ইত্যাদি। তার সঙ্গে রয়েছে আইএমএফের শর্ত মেনে চলা, রিজার্ভ শক্তিশালী করা এবং ডলার সংকটের বিষয়গুলো। মূল্যস্ফীতি মানুষের জীবিকায় ফেলেছে মারাত্মক প্রভাব। শিক্ষা, শিল্প, বাণিজ্য প্রায় স্থবির হয়েছে। শিক্ষিত বেকারদের জন্য কর্ম পরিকল্পনা এবং বরাদ্দ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এবারের বাজেট গতবারের থেকেও চ্যালেঞ্জিং।
একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সঙ্গে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের গতি ধরে রাখা এবং জীবনযাত্রার ওপর ব্যয়ের চাপ কমানো নিঃসন্দেহে আসন্ন বাজেটের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ হবে। কেননা, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষকে মুদ্রাস্ফীতির থাবা থেকে মুক্ত করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আসন্ন বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জোর দেওয়া অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি আশা করা যাচ্ছে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবারের ন্যায় এবারও একটা বড় চমক থাকতে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূমিকা অপরিসীম। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ১৫ বছরে সারা দেশে হাজার হাজার নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, সেতু এবং হাইওয়ের নির্মাণ কাজ হওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। আশা করা হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আসন্ন বাজেটে আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চন।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে বাজেটে তাদের জন্য বরাদ্দ আরও বাড়াবে বলে প্রত্যাশা করছি। আসন্ন বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবনার পাশাপাশি সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সতর্কতার সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করবে বলে আশা করা করছি।
বাংলাদেশের এই বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে তাতে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ। তবে এখন আমাদের কাঙ্ক্ষিত সৃজনশীল জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল অর্থনীতির প্রাথমিক বিকাশ ঘটাতে সুষম বাজেটের সুষমও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
উচ্চশিক্ষার পাঠ্যক্রম-পাঠদানসহ পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকা এবং তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে হবে আগে। আসন্ন বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখে ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করে বিদেশে পাঠাতে পারলে প্রচুর বিদেশী মুদ্রাও পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাফল্যের ওপর ভর করেই দূরদর্শী, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘোষণা। একইভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণাও ইতোমধ্যে মানুষের মনে শুধু আলোড়ন সৃষ্টিই করেনি, বরং তার সঙ্গে নব আশার সঞ্চার করেছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ কতটা আধুনিক একটি কর্মসূচি তা এর চার স্তম্ভের লক্ষ্য থেকেই বোঝা যায়। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা শর্টটার্ম, মিডটার্ম এবং লংটার্ম টাইমফ্রেমে সাজানো হয়েছে। স্মার্ট সিটিজেন হবেন বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাগ্রত দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী মানসিকতা সম্পন্ন নাগরিক। প্রত্যেক নাগরিকের প্রযুক্তিতে অভিযোজন ও অভিগম্যতা নিশ্চিত করা হবে। স্মার্ট ইকোনমিতে গড়ে উঠবে ক্যাশলেস, সার্কুলার (বৃত্তাকার), উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি।
আর্থিক লেনদেন হবে নগদবিহীন। পণ্যের পুনঃব্যবহার করে বৃত্তাকার অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে। ফলে শূন্য বর্জ্য উৎপাদন হবে। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই), রোবটিক্স, ব্লকচেইন, ড্রোনসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অগ্রসর প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণা ও উদ্ভাবনী সমাধান হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। স্মার্ট গভর্নমেন্ট হবে নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক। কাগজবিহীন, উপাত্তনির্ভর, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত, স্বয়ংক্রিয়।
যোগাযোগে কাগজের ব্যবহার হবে না। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে। অগ্রসর প্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, বিচারব্যবস্থার মতো জরুরি খাতগুলো পরিচালিত হবে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে। স্মার্ট সোসাইটি নিশ্চিত করবে বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক এক সমাজব্যবস্থা।
সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ সহনশীল সমাজ, যা হবে নিরাপদ ও টেকসই। আর্থিকসহ সব ধরনের সেবায় নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলা হবে। এসব কিছুর মূল চালিকাশক্তি হবে বাংলাদেশের আসন্ন বাজেট। এই বাজেট যত স্মার্টলি ডিজাইন করা হবে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ততই ত্বরান্তিত হবে। ফলে অচিরেই বাস্তবায়ন হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা।
লেখক : অধ্যাপক, উপাচার্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়