ডিবি পুলিশকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার আসামিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য অনুসন্ধানের অনুমতি দিয়ে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ও পলাতক থাকা আসামিদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কতগুলো হিসাব রয়েছে— বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে সে তথ্য প্রদানের আদেশ দিতে আদালতে এই আবেদন করা হয়।
যেসব আসামিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন— শিমুল ভুইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইয়া ওরফে আমানুল্লা সাইদ (৫৬), তানভীর ভূইয়া (৩০), শিলাস্তি রহমান (২২), আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন (৫৩), মো. সিয়াম হোসেন (৩৩), মোস্তাফিজুর রহমান (৩৩), ফয়সাল আলী সাজি (৩৭), চেলসি চেরী ওরফে আরিয়া, তাজ মোহামম্মদ খান (৬০) ও মো. জামাল হোসেন (৫২)।
এদের মধ্যে প্রথম তিনজন গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ রিমান্ডে আছেন। গত ২৩ মে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ২৪ মে তাদের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। প্রথম দফার রিমান্ড শেষে পুনরায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে সেখান থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।
সর্বশেষ কলকাতা সিআইডির তদন্তে উঠে আসা সিসিটিভি ফুটেজে গত ১৩ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনে শেষবার দেখা গিয়েছিল এমপি আনারকে। মনে করা হচ্ছে ওই দিনই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন এমপি আনারের বাল্যবন্ধু শাহীন। ইতোমধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। নেপাল হয়ে দুবাই, তারপরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারেন এই শাহীন।
এ ঘটনায় গত ২২ মে (বুধবার) ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।