ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বড় ব্যবধানে জয়ী হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। ৪২টি আসনের মধ্যে ৩১টিতেই জয় পাচ্ছে তারা। বাকি ১২টিতে বিজেপি আর একটিতে কংগ্রেস জয় পাচ্ছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করলেন মমতা।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মধ্যে আজ মঙ্গলবার কালীঘাটের দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তৃণমূলের প্রার্থীদের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানান তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার কেন্দ্রেও বিজেপির নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তারা এককভাবে সরকার গড়তে পারছে না। ভর করতে হবে বিহারের নীতীশ কুমার ও অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর ওপর। তাই এই পরাজয়ের নৈতিক দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে আর দেশ থাকত না বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন, তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। এর ফলে আমি খুশি, কারণ বিজেপি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি এনআইএ, সিবিআই, ইডি সব কিছু দিয়ে আমাদের ওপরে এবং অন্যান্য দলের ওপরে নানাভাবে অত্যাচার করছিল। তাদের অহংকার অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। আমি বলব, এখন প্রধানমন্ত্রীর সময় এসেছে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার। ওনার উচিত নিজে সরে গিয়ে অন্যদের জায়গা করে দেওয়া।’
এবার আর মোদিকে ছেড়ে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের অপর সদস্যরাও ছেড়ে দেবেন না। আপনার (মোদি) ম্যাজিক শেষ। এবার পদত্যাগ করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিআই (এম) ও কংগ্রেস এবার বিজেপিকে জয়ী করার জন্য কাজ করেছে। কিন্তু রাজ্যের জনগণ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর উদ্দেশে মমতা বলেন, উনি কংগ্রেসের নেতা নন। তিনি আসলে বিজেপির নেতা। আর সেই বিজেপিকে এবার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারের এই জয় ইন্ডিয়া জোটের জয়।
অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বিভাজনের রাজনীতির ফসল এবারের এই লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূলের ঔদ্ধত্যের পতন জনতার হাতেই হবে। ভয়ের পরিবেশে এবারের ভোট হয়েছে।