চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই অন্য রকম দুইটি ম্যাচ উপেভোগ করলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দিনের প্রথম ম্যাচে ছোট দুই দল নামিবিয়া ও ওমান মুখোমুখি হয়েছিল। এই ম্যাচ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা না থাকলেও বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে আজ নামিবিয়া জয় পায় সুপার ওভারে। ছোট এই দুই দলের এমন ম্যাচটা কিনা উপহার দিল জমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতা! অন্যদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই বড় দল শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই ম্যাচ হতাশ করে কিকেটপ্রেমীদের। কেননা এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৭ রান। সহজ এই লক্ষ ১৬ ওভার ২ বলে ৪ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যার ফলে লঙ্কানদের পেতে হয় ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানের হারের তিক্ত স্বাদ।
যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয় লঙ্কানরা। ৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারালেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেনের ২২ রানের জুটিতে ২২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান তারা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করার ম্যাচে প্রোটিয়াদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেন্ড্রিক্স। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি নুয়ান থুশারা। নুয়ান থুশারার বলে স্লিপে কামিন্দু মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান রেজা হেন্ড্রিক্স। আউট হওয়ার আগে করেন ২ বলে ৪ রান। তার বিদায়ে ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম ও কুইন্টন ডি কক। তবে তারাও আজ ব্যর্থ ছিলেন নিজেদের জুটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। দলীয় ২৩ রানে এইডেন মার্করামের বিদায়ে ১৩ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
এইডেন মার্করামের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ট্রিস্টান স্টাবস। কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে জুটি গড়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।
আর তখনই দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে আঘাত হেনে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গার শিকার হয়ে কুইন্টন ডি কক ২০ বলে ২৭ রান ও ট্রিস্টান স্টাবস ২৮ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ে ৫৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৫৮ রানে ৪ উইকেট হারালেও জয় পেতে কোনো অসুবিধা হয়নি এইডেন মার্করামের দলের। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেনের ২২ রানের জুটিতে ২২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান তারা।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া বোলারদের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপ। বিশেষ করে অ্যানরিক নরখিয়ার বোলিং তোপে লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র তিনজন ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘর। যার পলে ১৯ ওভার ১ বলে ৭৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ বলে ১৯ রান করেছেন কুসল মেন্ডিস। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন অ্যানরিক নরখিয়া।