নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ঢাকার আদালতে চলা মামলার প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
মিলার বলেন, শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অপব্যবহার বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গত রোববার ঢাকার আদালতে হাজিরা দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় এজলাসকক্ষে আসামিদের জন্য তৈরি লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়াতে হয় এই নোবেল বিজয়ীকে।
এই প্রসঙ্গ টেনে ব্রিফিংয়ে মিলারকে প্রশ্ন করা হয়। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসকে রোববার আদালতকক্ষে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়েছিল। বেরিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটা তার অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে যাওয়া’। একইভাবে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে লাখো বাংলাদেশিও তাদের অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছেন।
ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আমরা আগেও দেখেছি, বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে কিছু নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আপনি কি মনে করেন, গত ৭ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীনদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে এটা যথেষ্ট? নাকি বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আপনারা চিন্তাভাবনা করছেন?
জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার অগ্রগতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা আগেও উদ্বেগ জানিয়ে বলেছি, এই মামলায় বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ড. ইউনূসকে হয়রানি করতে আর ভয় দেখাতে এমনটা করা হচ্ছে।
সতর্ক করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের মুখপাত্র মিলার বলেন, এভাবে শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অপব্যবহার চলতে থাকলে বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এই বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে।