মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) মওকুফ আছে, যার সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মোহাম্মদ আলী। এর মানে আগামী ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসছে। ৩০ জুনের মধ্যে যদি মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট মওকুফের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে বাড়বে মেট্রোরেলের ভাড়া।
ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। গত বছর থেকে পুরোদমে মতিঝিল পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল। বর্তমানে প্রতিদিন কমবেশি আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহন করে এই নগর পরিবহনব্যবস্থা।
২০২৩ সালের শুরু থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট আরোপের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (মেট্রোরেল কোম্পানি) চিঠি দেন।
পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এনবিআরের একাধিক বৈঠকও হয়। তবে ভ্যাট আরোপ থেকে এনবিআর শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে। ২০২৩ সালের মে মাসে এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট মওকুফ থাকবে।
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ আছে, যার সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত। এরপর ভ্যাট আরোপ না করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। কিন্তু এনবিআর এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয়। কারণ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুসারে সব ধরনের করছাড় কমাতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্যাট মওকুফে অপারগতা প্রকাশ করে। গত ৪ এপ্রিল এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ আদেশ জারি করে জানায়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে।