টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এবার গ্রুপপর্বেই বড় পরীক্ষার মুখে পড়ে গেলো ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় স্কটল্যান্ডের কাছে পয়েন্ট খোয়ায় জস বাটলারের দল। এবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায়ের ঝুঁকিতে তারা।
আজ (রোববার) চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ৩৬ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টানা দ্বিতীয় জয়ে তারা উঠে গেছে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে।
অন্যদিকে দুই ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ দলের মধ্যে চার নম্বরে ইংল্যান্ড। শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ৫। অন্যদিকে এরই মধ্যে ৩ পয়েন্ট অর্জন করা স্কটল্যান্ড তাদের শেষ দুই ম্যাচের একটি জিতলেও ৫ পয়েন্ট পেয়ে যাবে। রানরেটে তারা ইংল্যান্ড থেকে বেশ এগিয়ে।
নামিবিয়া দুই ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট জোগাড় করেছে। ৫ বা তার বেশি পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আছে তাদেরও। সবমিলিয়ে চাপে আছে ইংল্যান্ডই।
কেনসিংটন ওভালে ২০২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৪ রান তুললেও এরপর বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেনি ইংলিশরা। ফলে তাদের ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেটে ১৬৫ রানেই।
দুই ওপেনার ফিল সল্ট ২৩ বলে ৩৭ আর জস বাটলার ২৮ বলে করেন ৪২ রান। এরপরের ব্যাটাররা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মঈন আলি ১৫ বলে ২৫ আর হ্যারি ব্রুক ১৬ বলে করেন অপরাজিত ২০ রান।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ২৩ রানে আর অ্যাডাম জাম্পা ২৮ রান খরচায় নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ইংল্যান্ডের বোলিংকে উড়িয়ে ৭ উইকেটে ২০১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এটিই চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম দুইশোর্ধ্ব সংগ্রহ।
বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ডেভিড ওয়ার্নার আর ট্রাভিস হেড। ৫ ওভারে ৭০ রান তুলে দেন তারা। পঞ্চম ওভারে ১৬ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৩৯ করে ওয়ার্নার বোল্ড হন মঈন আলির ঘূর্ণিতে।
পরের ওভারে হেডকে বোল্ড করেন জোফরা আর্চার। ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে হেড ২টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা হাঁকান। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৭৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।
এরপর মিচেল মার্শ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জুটি। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ বলে ৬৫ রান যোগ করেন তারা। জুটিটি ভাঙে লিভিংস্টোনের বলে পা এগিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়লে। ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে ২টি করে চার-ছক্কা মারেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
দুই রানের মধ্যে ম্যাক্সওয়েলও সাজঘরে ফেরেন। আদিল রশিদকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়া এই অলরাউন্ডার ২৫ বলে করেন মোটে ২৮ রান। টিম ডেভিড ফেরেন ৮ বলে ১১ করেই।
শেষদিকে মারকুটে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দুইশর ঘরে পৌঁছে দেন মার্কাস স্টয়নিস আর ম্যাথিউ ওয়েড। স্টয়নিস ১৭ বলে ২ করে চার-ছক্কায় ৩০ করে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন। ৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েড।
ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪৪ রান। একটি করে উইকেট নেন মঈন আলি, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ আর লিয়াম লিভিংস্টোন।