বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) নেতা নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’ জোট। শনিবার জেডি-ইউর নেতা কেসি ত্যাগী এই দাবি করেছেন। কিন্তু কংগ্রেস তা অস্বীকার করেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
ইন্ডিয়া টুডে টিভির ‘আজ তক’ অনুষ্ঠানে কেসি ত্যাগী বলেন, নীতীশ কুমার ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। এমন ব্যক্তিরাই নীতীশকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যারা তাকে ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়ক করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তিনি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা এনডিএ জোটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে আছি।
তবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কেসি ত্যাগীর এমন দাবি সম্পর্কে বলেন, ইন্ডিয়া জোট নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, এমন কোনো তথ্য দলের জানা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কিছু জানি না। যিনি বলছেন, তিনিই শুধু এ দাবি সম্পর্কে জানেন।’
ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৪০ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ২৭২ আসন। তবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছে ২৯৩ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯ আসন। দুই স্বতন্ত্র এমপি তাদের দলে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন।
নীতীশের জেডি-ইউ ও অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এনডিএর গুরুত্বপূর্ণ শরিক। দল দুটির সমর্থন ছাড়া বিজেপির পক্ষে সরকার গঠন এক ধরনের অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শোনা যাচ্ছিল, ইন্ডিয়া জোট নীতীশের জেডি-ইউ ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করছে।
এদিকে ইন্ডিয়া টুডে টিভি কেসি ত্যাগীর কাছে জানতে চেয়েছিল, ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে কোন নেতা নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন? জেডি-ইউর এই নেতা প্রশ্নটির উত্তর এড়িয়ে গেছেন।
অতীতে অনেকবার দল পরিবর্তন করেছেন নীতীশ কুমার। ২০২৩ সালে ইন্ডিয়া জোট গঠনের শুরুতে নীতীশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু পরে তিনি জোটটি থেকে সরে দাঁড়ান। যোগ দেন এনডিএতে। এবার লোকসভা নির্বাচনে তার দল জেডি-ইউ ১২ আসন জিতে বেশ ভালো করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় নীতীশের দল অন্তত তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।