এবারের বাজেট গতানুগতিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে একটা অর্থনৈতিক সংকটময় সময় পার করছি। এসব ধাক্কা সামলানোর বাজেট আশা করেছিলাম। এই বাজেটে অর্থমন্ত্রী সব সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু সমাধানের পথ দেখাননি।’
রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু এ কথাগুলো বলেন। জাসদ এই বাজেট পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে দলটি।
সভায় হাসানুল হক ইনু বলেন, মানুষের বয়স যেমন বাড়ে, বাজেটের আকারও তেমন বাড়ছে। তাই বাজেটের আকার বাড়ায় কৃতিত্ব নেই।
ধনীদের করের আওতায় আনার ও মূল্যস্ফীতি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কায় আমরা বিপর্যস্ত। বাজারে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য, ডলার–সংকট, সুদের হারের গন্ডগোল, ব্যাংকের বিশৃঙ্খলা ও রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি রয়েছে। পুরো অর্থনীতিতে যে অনাস্থা ভাব ও অর্থনীতিতে শাসন প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে একটা অর্থনৈতিক সংকটের সময় পার করছি। বাজেটে সংকট সমাধানের জন্য জোরালো ব্যবস্থা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এখন গ্রামাঞ্চলের অনেক মুদিদোকানেও বছরে কোটি টাকার লেনদেন হয়। তাই উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। বাজারব্যবস্থার সংশোধন ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাজেট পর্যালোচনা সভায় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট সাধারণ মানুষের কাছে বাজেট মানে আতঙ্ক। কোন জিনিসের দাম কতটুকু বাড়বে, তাদের জীবনযাপন ব্যয় কতটুকু বাড়বে—এগুলো নিয়ে মানুষ চিন্তিত। মুঠোফোনের টকটাইম ও ইন্টারনেট ডেটার ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। সভা সঞ্চালনা করেন জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।