নিজের পছন্দের একাদশের অনেককেই পাননি কোচ লিওনেল স্কালোনি। আবার স্কোয়াডে থাকা সবাইকে কিছুটা সুযোগ দিতেও মরিয়া ছিলেন আর্জেন্টাইন বস। যে কারণে লিওনেল মেসির মতো তারকাকেও বেঞ্চে রাখতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি এই মাস্টারমাইন্ড। ক্লাবে তুলনামূলক কম সুযোগ পাওয়া হুলিয়ান আলভারেজ কিংবা জিওভানি লো সেলসোদেরই অনেকটা সময় মাঠে রেখেছেন। আর্জেন্টিনার খেলায় সেটার কিছুটা ছাপও পড়েছে বটে।
কোপা আমেরিকার আগে ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মেসিকে বাদ দিয়েই শুরুর একাদশ সাজালেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তাতে শুরুর দিকে আর্জেন্টিনাকে খানিক ছন্নছাড়া লাগলেও, পরে ঠিকই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। প্রথমার্ধেই এসেছে দলের জয়সূচক গোল। সেটাও অভিজ্ঞ আনহেল ডি মারিরার পা থেকে।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসি ছিলেন। আর্জেন্টিনার দলে ট্যাকটিকাল পরিবর্তন ছিল। কিন্তু গোলের দেখাটাই পেল না বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ইকুয়েডরের পাঁচজনের ডিফেন্স বারবার পরীক্ষা নিয়েছে আর্জেন্টিনার। তাতে মেসি-লাউতারোরা যে খুব বেশি সাবলীল ছিলেন বলা চলে না। শেষ পর্যন্ত ডি মারিয়ার ৩৯ মিনিটের ওই ১ গোলেই ঘাম ঝরানো জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে মেসিকে বাদ দিয়েই শুরুর একাদশ সাজালেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তাতে শুরুর দিকে আর্জেন্টিনাকে খানিক ছন্নছাড়া লাগলেও, পরে ঠিকই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। আর গোছানো সেই আর্জেন্টিনার গোলের দেখা পেতেও সময় লাগেনি খুব বেশি।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম অন টার্গেট শট নেয় আলবিসেলেস্তেরা। পরের ১৫ মিনিটে স্কালোনির দল আক্রমণে গিয়েছে বারবার। ফলাফল আসে ৪০ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগো ডি পলের পাস পেয়ে যান আক্রমণে উঠে আসা ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো।
ডিবক্সের প্রান্ত থেকে তার ছোট থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান আনহেল ডি মারিয়া। অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড এরপর ফিনিশিং দিয়েছেন দারুণ। তাতেই বিরতিতে যাওয়ার আগে লিড পায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। তবে ডি মারিয়ার নেয়া শট গোলবারে লেগে হতাশ করে আর্জেন্টাইন ভক্তদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই মেসি মাঠে নামেন। তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন আর দুই ফরোয়ার্ড নিকো গঞ্জালেস এবং আনহেল কোরেয়া। আর্জেন্টিনার কোপা স্কোয়াডে এই দুজনের মধ্যে থাকা-না থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে। আজকের ম্যাচের পারফরম্যান্সে নিশ্চিতভাবেই চোখ থাকবে কোচ স্কালোনির। আর তাতে অবশ্য দুই ফরোয়ার্ডের কেউই খুব বেশি ভরসা যোগাতে পারেননি।
বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার পরীক্ষা ভালোভাবেই নিয়েছিল ইকুয়েডর। তবে অন টার্গেট শট রাখার বেলায় নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করা হয়নি তাদের। মাত্র দুবার ইকুয়েডরের গোলমুখে শট নেয়। সেটা থেকেও গোল আসেনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়টাই আর্জেন্টিনার জন্য কোপা আমেরিকার আগে খানিক দুশ্চিন্তা নিয়ে এসেছে।