আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে বুথফেরত জরিপে ম্যাক্রোঁ সমর্থিত দল বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দেশটির পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তিনি।
ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জুলাই।
সোমবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েট প্রেস নিউজ (এপি)।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আমি আপনাদের বার্তা ও উদ্বেগ জানতে পেরেছি। এর জবাব আমি এড়িয়ে যেতে পারি না। শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে কাজ করতে ফ্রান্সের সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ওপর আস্থা রয়েছে আমার। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতির জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা কি তা আমি বলব। ফ্রান্সের জনগণ নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেরাটাই বেছে নেবেন। ’
এদিকে, রোববার (৯ জুন) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ২৭টি দেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেখা গেছে, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়াতে অতি-ডানপন্থিরা ভালো ফল করেছে। তারা মধ্যপন্থিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া আটকাতে পারছে না।
ডানপন্থি মেরিন লে পেনের প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল র্যালি পেতে যাচ্ছে ৩২ শতাংশ ভোট। যা ম্যাক্রোঁর দল রেঁনেসার থেকে দ্বিগুণ। ম্যাক্রোঁর দলটি পেতে যাচ্ছে ১৫ শতাংশ ভোট।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নির্বাচনে খারাপ ফলের কারণেই হঠাৎ করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ। তার মতো জার্মানিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে বাজে ফলাফল করেছে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের অন্তত ৩৭ কোটি ৩০ লাখ নাগরিক ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি) সদস্য নির্বাচনের ভোটার। ৭২০ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মূলত ইইউ সদস্য দেশগুলোর পার্লামেন্ট দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। ইইউয়ের বাজেট অনুমোদন, আন্তর্জাতিক চুক্তি, সদস্য দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে ইইউ আইন নিয়ে আলোচনার মতো কাজগুলো করে ইপি।