তুলনামূলক দুর্বল নামিবিয়াকে পাওয়ার প্লের মধ্যেই হারিয়ে রেকর্ড জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করল অজিরা।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে গ্রুপ ‘বি’-এর ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে অজিরা। নামিবিয়ার সব উইকেট হারিয়ে ছুড়ে দেওয়া ৭২ রানের লক্ষ্য ৫.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় মার্শবাহিনী।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অজি বোলারদের তোপের মুখে পড়েন নামিবিয়ার ব্যাটাররা। একের পর উইকেট পতনের মিছিলে একাই লড়েন নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। ৪৩ বলে ৩৬ রান করেছেন তিনি। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যেই।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট গেছে জস হ্যাজলউড এবং মার্কাস স্টইনিসের ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট দখল করেছেন প্যাট কামিন্স ও নাথান এলিস।
জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। ৮ বলে ২০ রান করে ওয়ার্নার আউট হন ডেভিড ভিসের বলে। পাওয়ার প্লের মধ্যেই বাকি পথ সহজে পাড়ি দেন হেড ও মিচেল মার্শ। ১৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন হেড। ৯ বলে ১৮ রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মার্শ।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতেছে ৮৬ বল হাতে রেখে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর চেয়ে দ্রুত জয় পাওয়ার ঘটনা আছে মাত্র একটি। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে এর চেয়ে বেশি রান (৭৪/১) এর আগে করেনি অস্ট্রেলিয়া। সমান রান তারা করেছিল এই বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
পাওয়ার প্লেতে রানের ব্যবধানের দিক থেকেও একটি রেকর্ড হয়েছে। নামিবিয়া যেখানে সংগ্রহ করেছে ৩ উইকেটে ১৭ রান, অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ সেখানে ১ উইকেটে ৭৪ রান। অর্থাৎ রানের পার্থক্য ৫৭ রান। এর আগে দুবাইয়ে ২০২১ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষেই পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রান বেশি করেছিল স্কটল্যান্ড।
৩ ম্যাচে ৬ জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে তাদের গ্রুপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নামিবিয়া ও ওমানের। বাকি আছে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। যেখানে স্কটিশরা ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে সুবিধাজনক অবস্থানে। আর ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় ইংলিশরা।