ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠনে নিজের কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন। কিন্তু পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না তিনি। মহারাষ্ট্রের দুই মিত্র এনসিপির অজিত পাওয়ার ও শিবসেনার একনাথ শিন্ডে মোদির গলার কাঁটা হয়ে খচখচ করছেন। সেই সঙ্গে তাঁর চিন্তা বাড়িয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুও। লোকসভার স্পিকার পদের দাবি ছাড়তে তিনি এখনও নারাজ।
অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন বসতে পারে আগামী ২৪ জুন। সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন চলবে আট দিন। শেষ হবে ৩ জুলাই। লোকসভার স্পিকারের নির্বাচন হতে পারে ২৬ জুন। আগামী ২৪ এবং ২৫ জুন লোকসভা নির্বাচনে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন।
গত রোববার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেন মোদি। শপথ নিয়েছেন বাকি পূর্ণমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীরা। তবে শপথ গ্রহণের পরের দিন থেকেই এনডিএ-র শরিক দল তথা চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছে।
বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় টিডিপি নেতা কে রামমোহন নাইডুকে বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেও চন্দ্রবাবু এখনও লোকসভার স্পিকারের পদের দাবিতে অনড়। পাল্টা চালে বিজেপি অন্ধ্রপ্রদেশেরই বিজেপি সভানেত্রী ডি পুরন্দেশ্বরীর নাম স্পিকারের পদের জন্য এগিয়ে দিচ্ছে। পুরন্দেশ্বরী সম্পর্কে চন্দ্রবাবুর শ্যালিকা। শ্যালিকার জন্য জামাইবাবু নিজের দাবি থেকে সরে আসতে পারেন বলে বিজেপি নেতাদের আশা। উল্টোদিকে কংগ্রেসের তরফে চন্দ্রবাবুকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তেলুগু দেশম পার্টি স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী দিলে কংগ্রেস সমর্থন করতে পারে। অন্যদিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-ও স্পিকারের চেয়ারের দিকে নজর রাখছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে সবাই ভালো প্রতিবেশী চায়। কিন্তু কেউই শক্তিশালী প্রতিবেশীকে ভালোবাসে না। ভারত ও চীনের বেলাতেও এ কথা খাটে। প্রতিবেশী চীনের কাছে ভারত অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের নির্বাচন ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে চীনের আগ্রহ রয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে মোদির একক আধিপত্য কিছুটা কমে আসায় চীনা বিশ্লেষকদের অনেককেই বেশি আনন্দিত হতে দেখা গেছে। শরিকদের ওপর মোদির নির্ভরতাকে বেশি ফোকাস করেছে চীনা গণমাধ্যমগুলো।
সূত্রে : ইন্ডিয়া টুডে