আগামী সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা উৎযাপিত হবে সারাদেশে। এই উৎসব নিজ পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। গতকাল বুধবার ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিন শুরু হয় আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন। এদিন প্রথম দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে কমলাপুরে। টিকিট দেখিয়ে কমলাপুরে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন যাত্রীরা। দিনের শুরু থেকেই সময়মতো কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ছে ট্রেন। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, গতকাল কিছু বিলম্ব হলেও আজ সব ট্রেন চলবে যথারীতি, সময়মতো।
আজ সকাল ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত আন্তঃনগর ও কমিউটার মিলে ১২টি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে। এখন স্টেশন ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে দুটি ট্রেন। আরও পাঁচটি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমাণ। আজ লোকাল, কমিউটার ও আন্তঃনগর মিলে মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।
সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তারা জানান, দিনের শুরুর মতোই যেন বাকি ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে যায়।
খুলনা যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা শাহেদ বলেন, শুনেছি গতকাল ঈদযাত্রার প্রথম দিনে বিলম্বে ট্রেন ছেড়েছিল। আজ ওটা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে স্টেশনে এসেই দেখি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করছে। ভালো লেগেছে। অন্য ট্রেনগুলোও যেন একই সময়ে ছেড়ে যায়, এতে ঈদের আগে বাড়তি আনন্দ পাওয়া যাবে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, কোনো ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয় হবে না। আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। গতকাল ঈদযাত্রার প্রথম দিনে পারাবতের কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে কয়েকটির। আজ সমাধান হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত ১২টি ট্রেন যথাসময়ে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।