প্রায় ৯ মাস পর কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর আরোপ করা ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ওমান। এর ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিজিট ভিসা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স ও শিক্ষক ভিসায় ওমান যাওয়া সুযোগ তৈরি হলো।
ঢাকার ওমান দূতাবাস বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত বছর অক্টোবরে আরোপিত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণিকে অব্যাহতি প্রদান করছে ওমান সরকার।
যেসব ক্যাটাগরিতে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে
ফ্যামিলি ভিসা, জিসিসি বা উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিজিট ভিসা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী, সব ধরনের অফিসিয়াল ভিসা এবং উচ্চ-আয়ের আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যটক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব শ্রেণিভুক্ত আবেদনকারীদের কাছ থেকে ভিসা আবেদন গ্রহণ করবে ও ভিসা ইস্যুর ব্যাপারে রয়্যাল ওমান পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করবে। আবেদনকৃত ভিসার পক্ষে আবেদনকারী তার যাবতীয় কাগজপত্র যথাযথ সত্যায়নপূর্বক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দূতাবাসে জমা দেবেন। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রত্যেক আবেদনকারীর সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ওপর নির্ভর করে এক থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ওমান উভয় দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিছক একটি অরাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যা কৌশলগত কারণে ওমানে বিদেশি শ্রম বাজার সমীক্ষা ও পর্যালোচনার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। আর এ দুই দেশের বিচক্ষণ ও সুযোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ও বহুমাত্রিক ধারায় সম্প্রসারিত হচ্ছে।
এদিকে এক দিন আগে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছিলেন, নতুন করে কর্মী নিতে ওমান শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তিনি বলেন, ওমানে ৯৬ হাজার কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। এর জন্য প্রত্যেক কর্মীকে মাসে ১২ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশের অনুরোধে এটি মওকুফ করা হয়েছে।
ওমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য এমন পদক্ষেপ সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ভিসা অব্যাহতি প্রদানে ওমানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাগত জানানো হয়।