চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রতিবছর সরকার অনুদান দিয়ে থাকে। সেই ধারাকে অব্যাহত রাখতে বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে অনুদান পাওয়া এ বছর ২০টি সিনেমা ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার নাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় দুটি সিনেমা অনুদান পেয়েছে। একটি ‘পাকিস্তানে বন্দিজীবন’। এটির পরিচালক ও প্রযোজক সাজেদুল ইসলাম। অন্যটি ‘ছোঁয়া’, এর পরিচালক ও প্রযোজক রাকিবুল হাসান। দুটি সিনেমাই ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে।
শিশুতোষ শাখায়ও একইভাবে দুটি সিনেমা অনুদান পেয়েছে। ‘অদ–ভুত’ নামে সিনেমাটির প্রযোজক রাইদ মোরশেদ। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন তাওকীর ইসলাম। প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে ‘চলনবিলের মানিক’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন নিয়ামুল মুক্তা। দুটি সিনেমাই ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে।
প্রামাণ্যচিত্র শাখায় ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান পেয়েছে ‘নো ম্যাডস অব দ্য নর্থ’। এর পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন পিপলু আর খান। অন্যটি ‘কালের যাত্রা’। তথ্যচিত্রটির প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে রয়েছেন রাসেল রানা দোজা।
এবার সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে ১৪টি সিনেমা। প্রতিটি সিনেমা ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে। পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে ‘মিহিন গাথা’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছে মির্জা শবনব ফেরদৌসী। ‘ঠিকানা’ সিনেমার জন্য পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর। অন্যদিকে ফজলে হাসান শিশির ‘সুরাইয়া’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন রবিউল আলম রবি।
‘জয়া’ সিনেমার জন্য পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন গোলাম মোস্তফা। ‘লোভ’ সিনেমার প্রযোজক পিংকি আক্তার, সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সঞ্জয় সমাদ্দার। এটির প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন পিংকি আক্তার। পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে ‘সখী রঙ্গমালা’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন এন রাশেদ চৌধুরী।
সাধারণ শাখায় আরও অনুদান পেয়েছে শেলী কাদের প্রযোজিত ‘জাত’। এটি নির্মাণ করবেন নারগিস আক্তার। আরেকটি সিনেমা ‘ময়নার চার’–এর প্রযাজক সুমন পারভেজ, পরিচালক এ জেড এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, ‘কালবেলা’ নামে নির্মিতব্য আরেকটি সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক ইব্রাহীম খলিল মিশুক (মিশুক মনি)।
এই তালিকায় আরও আছে মনোজ প্রামাণিক প্রযোজিত ‘সেয়ানা’, এটি পরিচালনা করার কথা ইকবাল হাসান খানের। আছে ‘আজিরন’ নামে আরও একটি সিনেমা, এটির প্রযোজক ও পরিচালক গীতালি হাসান। এ ছাড়া আছে ‘পোস্টমর্টেম’। ছবিটির প্রযোজক মো. নিজাম উদ্দিন, পরিচালক, আরিফ সিদ্দিকী, ‘হা ঘরে’ নামে আরেকটি সিনেমাও আছে তালিকায়। ছবিটির প্রযোজক নূর মনির, পরিচালনা করবেন নাসরুল্লাহ মানসুর।
সাধারণ শাখায় মনোনীত আরেকটি সিনেমা হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। সিনেমাটির প্রযোজক ও পরিচালক দেওয়ান নজরুল।
এ ছাড়া ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজককে অনুদান প্রদানের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় অনুদান পেয়েছে দুটি সিনেমা। এগুলো হলো ‘অপরাজিত ৭১’। এরপর প্রযোজক ও পরিচালক মঈন উদ্দিন পাঠান। আরেকটি সিনেমা হলো ‘জলদাসী’। এটির প্রযোজক ও পরিচালক মো. আবদুল খালেক (খালেক সাদমান)। দুটি সিনেমাই ২০ লাখ টাকা করে অনুদান পাচ্ছে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের শিশুতোষ শাখায় ২০ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছে ‘ডালিমকুমার ও তালপুকুরের কিচ্ছা’। এটি প্রযোজক ও পরিচালক সামির আহমেদ।
এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে তিনটি সিনেমা। এগুলো হলো জুয়েইরাযাহ মউয়ের ‘মৌতালি পিঠার ঘ্রাণ’, এস এম কামরুল আহসানের ‘ফিনিক্স পাখি’ ও মোহাম্মদ মামুন ছোবহানীর ‘আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু’। তিনটি সিনেমাই ২০ লাখ করে টাকা অনুদান পাচ্ছে।