নীরবে না ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিনেত্রী সুনেত্রা। দেড় মাস আগে গত ২৩ এপ্রিল ভারতের কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এককালের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী! তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। আশি-নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দায় ঝড় তুলতেন মায়াবী চোখের সুনয়না সুনেত্রা। সুপারহিট বহু সিনেমার নায়িকা তিনি। তার মৃত্যুর খবরটি আজ নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
শুক্রবার (১৪ জুন) জায়েদ খান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবের আমার পছন্দের একজন নায়িকা, চোখের প্রেমে পড়তো যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেকদিন বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায়। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজ হঠাৎ শুনলাম তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন। নীরবে নিভৃত্বে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখবো আর আপনাকে মিস করবো।
ভারতের কলকাতায় ১৯৭০ সালের ৭ জুলাইয়ে জন্ম। মূল নাম রীনা সুনেত্রা কুমার। মঞ্চ থেকে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়।
বাংলাদেশি পরিচালক মমতাজ আলী তাকে ঢালিউডে আনেন। প্রথম সিনেমা ছিল তখনকার হার্টথ্রব নায়ক জাফর ইকবালের বিপরীতে ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উসিলা।’ ১৯৯০ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘পালকি’ সিনেমাটি সুনেত্রাকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি দিয়েছিল।
বাংলাদেশে তার উল্লেখযোগ্য ছবি : ‘পালকি, ভাইবন্ধু, বোনের মতো বোন, যোগাযোগ, ভুল বিচার, সাজানো বাগান, রাজা মিস্ত্রী, ঘর ভাঙ্গা ঘর, কুচবরণ কন্যা মেঘবরণ কেশ, শুকতারা, সুখের স্বপ্ন, রাজা জনি, বাদশা ভাই, ছোবল, ভাই আমার ভাই, দুঃখিনী মা, বন্ধু আমার, বিধান, নাচে নাগিন, সর্পরাণী, বিক্রম, উসিলা, লায়লা আমার লায়লা, শিমুল পারুল, ভাবীর সংসার, আমার সংসার, ধনরত্ন, নির্দয়, উচিত শিক্ষা, ঘরের সুখ, সাধনা, আলাল দুলাল।
ঢালিউডের সেই সময়ের ব্যস্ত সব নায়ক জসিম, সোহেল রানা, ফারুক, জাফর ইকবাল, ইলিয়াস কাঞ্চন, মান্না সবার সাথেই সুনেত্রা ছবি করেছেন।