৫৮, ৭৫ ও ৯৫- এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রথম তিন প্রতিপক্ষের দলীয় রান। এতেই বোঝা যায়, এবার কতটা বিধ্বংসী বোলিং করছেন আফগান বোলাররা। তিন ম্যাচেই দাপুটে জয় পেয়েছে তারা। অন্যদিকে আফগানিস্তানের জয়ে কপাল পুড়েছে নিউজিল্যান্ডের। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে কিউইরা।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আজ ৭ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে ৯৫ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে পাপুয়া নিউগিনি। এ নিয়ে আব্রের আসরে ১০০-এর নিচে অলআউট হওয়ার নবম নজির এটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। জবাবে ৪.৫ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগান দল।
আগে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনি আজ শুরু থেকেই পড়ে যায় আফগানদের বিষাক্ত বোলিংয়ের সামনে। বিশেষ করে ফজলহক ফারুকি। এই আসরে নিজের উইকেটসংখ্যাকে ১২-তে নিয়ে গেছেন এই পেসার। তিনি ভালো সহায়তা পান নাভিন-উল-হকের কাছ থেকে।
তাদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি পাপুয়া নিউগিনির প্রায় সব ব্যাটার। স্রোতের বিপরীতে শুধু তিনজন ব্যাটার দেখা পেন দুই অঙ্কের। এর মধ্যে উইকেটকিপার–ব্যাটার কিপলিন দোরিগা ও আলেই নাও অষ্টম উইকেট জুটিতে তোলেন ৩৮ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন দরিগা।
বল হাতে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ফারুকি। তবে রান খরচে সবচেয়ে কৃপণ নাভিন। ২.৫ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নূর আহমেদের ঝুলিতে গেছে ১ উইকেট। বাকি ৪ ব্যাটার রানআউটের শিকার হয়েছেন।
অল্প রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার ইব্রাহীম জাদরানের (০) উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর তৃতীয় ওভারে ফিরে যান আরেক ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১১)। এরপর আর মাত্র ১টি উইকেটই হারিয়েছে আফগানরা। ১৮ বলে ১৩ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
আফগানিস্তানকে বাকি পথ সহজেই পার করেন গুলবাদিন নাইব ও মোহাম্মদ নবি। ৩৬ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নাইব। আর নবি মাঠ ছাড়েন ২৩ বলে ১৬* রান করে; আর তাতেই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা।