বহিঃশত্রুর যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলার সক্ষমতা সেনাবাহিনীর রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। কেউ অযথা বিভেদ সৃষ্টি করতে এলে ‘সেনাবাহিনী বসে থাকবে না’ বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
মিয়ানমার সীমান্তে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, এর জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ড আছে। তারা বিষয়টা তদারকি করছে। আমরা সেনাবাহিনীও প্রস্তুত আছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে বা অন্যদিকে গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে একটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের নৌপথে চলাচলকারী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমার সংলগ্ন সমুদ্রে দেখা গেছে দেশটির কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ। এ কারণে টানা আট দিন এ নৌপথে যানচলাচল বন্ধ ছিল। এতে খাদ্য সংকটে পড়েন সেন্টমার্টিনবাসী। আটকা পড়েন অনেকে। পরে শুক্রবার রাতে ২০০ টন খাদ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন যায় এমভ বারো আউলিয়া জাহাজ। এ অবস্থায় সাংবাদিকরা টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বহিঃশত্রুর যেকোনো আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা রয়েছে। আমরা শান্তিপ্রিয়, কারো সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। কিন্ত কেউ যদি আমাদের সঙ্গে অযথা বিভেদ সৃষ্টি করতে আসে সেক্ষেত্রে আমরা বসে থাকব না।’
তিনি আরও বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। তারই প্রতিফলন ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন। সেনাবাহিনীর দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। সেই কাজে তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।