আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা। জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে নির্বিঘ্নে চলাচল ও সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী।
সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
রোববার (১৬ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান হাবিবুর রহমান। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, অন্যান্য বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঢাকায় মুসলিম দেশের কূটনীতিক এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ঈদ জামাত আদায় করবেন। এই ঈদগাহ মাঠে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এসময় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান, সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১০টার দিকে এসে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের ভেতরে ও আশপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটারের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার ঈদগাহের প্যান্ডেলের ক্ষেত্রফল ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে পৃথক ওয়াচ টাওয়ার। ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র্যাবের পৃথক ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম।
ঈদগাহে মূল প্রবেশপথ থাকবে তিনটি। তবে জামাত শেষে বের হওয়ার জন্য উত্তরের দিকে আরও গেট খোলা হবে। এছাড়া, নারীদের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশে আলাদা প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে।
ঈদের দিনে জাতীয় ঈদগাহকেন্দ্রিক চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা থাকবে এবং প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের নারী পুলিশ সদস্যরা পর্যবেক্ষণ করবেন।