রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সার্বিক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে কোনো পক্ষ আগ্রাসনের শিকার হলে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরকালে দৃশ্যত এ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়। খবর বিবিসির।
দুই দিনের সফরে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত তিনটার দিকে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছান পুতিন।আজ বুধবার পুতিন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেখানে এই চুক্তিতে সই করেন দুই নেতা।
বৈঠক শেষে পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে সার্বিক অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। এতে আগ্রাসনের শিকার হলে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক কারিগরি সহযোগিতা গড়ে তোলার বিষয়টিও নাকচ করেননি তিনি।
এ সময় ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অন্য সদস্যদের দেওয়া সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গও টানেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এ সময় কিম জং-উন বলেন, তার দেশ কিংবা রাশিয়া কোনো ধরনের ‘ঘটনা বা যুদ্ধের’ মুখে পড়লে কোনো দ্বিধা ছাড়াই এর জবাব দেবে উত্তর কোরিয়া। অবশ্য ‘ঘটনা’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি কিম।
উত্তর কোরীয় নেতা আরও বলেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ‘জোটগত নতুন উচ্চতায়’ উন্নীত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া চুক্তিকে ‘সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও আত্মরক্ষামূলক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।