গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের ইতিহাস, দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকার ইতিহাস। সুখে-দুঃখে, দুর্যোগে-দুর্বিপাকে সর্বদা গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে যাওয়াই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দৃপ্ত প্রত্যয়।
আজ রোববার (২৩ জুন) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত চক্রান্তের পর চক্রান্ত মোকাবেলা করে চলতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য পাকিস্তানের স্বৈরতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠী চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং খালেদা জিয়াসহ আরও অনেকে চেষ্টা করেছে। জামায়াতে ইসলাম চেষ্টা করেছে। বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে কেউ কেউ দলে ভাঙন সৃষ্টি চেষ্টা করেছে। সমস্ত চক্রান্ত মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টি আওয়ামী লীগের একক কৃতিত্ব এবং আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, পঁচাত্তরের পরে সামরিক স্বৈরতন্ত্র আওয়ামী লীগকে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। দেশে গণতন্ত্র নাই যারা এখন বলে, তাদের এটি উপলব্ধি করা উচিত, গণতান্ত্রিক অবস্থা আছে বলেই তারা আজ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশে এসেছিলেন ঐক্যের প্রতীক হিসেবে, তাঁকেও হত্যা করার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মনে করি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের প্রয়োজন আছে। এসময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে মজবুত করে, তাঁকে সহযোগিতা করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহাবুব আলম এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।