প্রয়োজনে নতুন আইন করে ঋণখেলাপিদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন জামালপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুর রশীদ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি জানান।
আবদুর রশীদ বলেন, ‘খেলাপি ঋণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। আমরা ১০টি কোম্পানির (ঋণ খেলাপি) নাম শুনি, কিন্তু মালিকের নাম শুনি না। সেই কোম্পানির কাছে ৩০ হাজার কোটি টাকা বসে থাকবে। আর আমরা এ ধরনের কথা শুনব, তা হয় না।’
খেলাপি ঋণের হাজার হাজার মামলা ঝুলে আছে উল্লেখ করে আবদুর রশীদ বলেন, প্রয়োজনে নতুন আইন করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
আবদুর রশীদ বলেন, আমি যখন স্বতন্ত্র এমপি পদে দাঁড়ালাম, স্ত্রী-বাচ্চাসহ যাচ্ছিলাম। এলেঙ্গা রিসোর্টে বিরতির সময় দেখলাম, বিশাল বড় একটা উঁচু গাড়ি। তখন আমার মিসেস বলল, “এটা কিসের গাড়ি”? তাকিয়ে দেখলাম, সংসদ সদস্যের গাড়ি।’
নির্বাচিত হওয়ার পর গাড়ির ক্যাটালগ দেখানো হয়েছিল উল্লেখ করে স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘৬ তারিখ যখন অর্থমন্ত্রী বক্তৃতা দিলেন, রেট (সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক বসানোর প্রস্তাব) বসালেন। বাসায় গেলাম, তাদের (স্ত্রী-সন্তান) মন খুব খারাপ। বলে অবস্থা কী? ভ্যাট তো বসানো হয়েছে। তাহলে উপায় কী? আমরা প্রতিবাদ (শুল্ক বসানোর প্রতিবাদ) করেছি আমাদের জায়গা থেকে।’
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুর রশীদের বক্তব্যের সময় সংসদের অধিবেশন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হাসতে দেখা যায়। তখন আবদুর রশীদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হাসছেন। তিনি যখন হাসেন, তখন এটা পজিটিভ। যখন রাগেন, তা নেতিবাচক।’