৩.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১ রান। বাংলাদেশের রান এ পর্যায়ে থাকতেই নামে বৃষ্টি। প্রায় আধাঘণ্টা বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল। এরপর আবারও শুরু হলো খেলা।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৭। ৩৪ রান নিয়ে লিটন দাস এবং ৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মাহমুদুল্লাহ।
বাংলাদেশের ওপেনিংয়ের সমস্যা কাটছেই না। একজন ব্যাটারও ছন্দে নেই। লিটন দাস, সৌম্য সরকারের কথা বলা হয়, তারা ফর্মে নেই।
কিন্তু যে তানজিদ হাসান তামিমের ওপর আস্থা রেখেছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই তামিমই একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। আবারও শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এ নিয়ে তিনবার শূন্য রানে আউট হলেন এই তরুণ ওপেনার।
সেমিফাইনালে যেতে হলে আফগানদের করা ১১৫ রান টপকে যেতে হবে ১২.১ ওভারে। সে লক্ষ্যেই শুরু থেকে মারকুটে ব্যাট করা প্রয়োজন বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের। লিটন দাস শুরুটা করলেন তেমনই। কিন্তু তানজিদ হাসান তামিম কী করলেন?
মারমুখি হওয়া তো দূরে থাক, রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন কোনো রান না করেই। দলীয় রান ছিল এ সময় ১৬। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক, তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নিজের ব্যাটকে মেলে ধরবেন। একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেনও।
কিন্তু নাভিন-উল হকের বলে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি মাত্র ৫ রান করে। এরপর মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমাধারী এই ক্রিকেটারের কাছেও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার প্রত্যাশা ছিল সবার।
কিন্তু তিনি মারলেন গোল্ডেন ডাক। নাভিন-উল হকের প্রথম বল মোকাবেলা করতেই রিটার্ন ক্যাচ দিলেন তিনি। ২৩ রানে পড়লো বাংলাদেশের ৩ উইকেট।