শেষ ওভারে ২টি ছক্কা হজম করে ফেললেন তানজিম হাসান সাকিব। পুরো ইনিংসে রান নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও শেষ ওভারের ১৫ রানই আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দিতে সক্ষম হলো। বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত ১১৬ রানের লক্ষ্য দিলো আফগানিস্তান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ভালোই মোকাবেলা করতে শুরু করেছিলেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান। যদিও খুব বেশি চড়াও হতে পারছিলেন না তারা। উইকেট না পেলেও রানের গতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা।
তবে চাপের মধ্যে রেখে ৫৯ রানে ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। ১৮ রান করে আউট হন ইবরাহিম জাদরান। এরপর ৮৪ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান মোস্তাফিজুর রহমান। ১০ রান করে আউট হন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
দলীয় ১৭তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে এবার আরও বেশি বিধ্বংসী হলেন রিশাদ হোসেন। এক ওভারেই নিলেন ২ উইকেট। ফেরালেন দুই মারকুটে ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং গুলবাদিন নাইবকে। ৫৫ বলে ৪৩ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। গুলবাদিন নাইব করেন ৪ রান। ১ রান করা মোহাম্মদ নবির উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
এর আগে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই একটি রানআউটের সম্ভাবনা মিস হয়েছিলো। সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙলেও রানআউট হয়নি। এরপর সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ উঠেছিলো। কিন্তু তাওহিদ হৃদয় সেই ক্যাচটি হাতের তালুতে জমিয়ে রাখতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত আফগানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ইবরাহিম জাদরানকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রিশাদ। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে ভাঙে আফগানদের ৫৯ রানের জুটি। ২৯ বলে ১৮ রান করে আউট হন ইবরাহিম জাদরান।