টাঙ্গাইল শাড়ির পর সুন্দরবনের মধুরও জিআই সনদ গেল ভারতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিপিডি
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল শাড়ির পর এবার সুন্দরবনের মধুর আন্তর্জাতিক ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ নিয়ে গেছে ভারত। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বহীনতা বা উদাসীনতার কারণে এককভাবে এ সনদ নিয়েছে দেশটি। অথচ সুন্দরবনের আয়তন ও মধু উৎপাদনের সিংহভাগ বাংলাদেশের অধীনে থাকা সত্ত্বেও নিজেদের পণ্য হিসেবে মধুর জিআই সনদ পায়নি বাংলাদেশ।

বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘সুন্দরবনের মধু এখন ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মধুর জিআই সনদ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কয়েক মাস আগে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ পেতে কী করতে হবে সেই বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। সেই অনুযায়ী সরকারের সংশ্লিষ্টরা বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কিন্তু টাঙ্গাইল শাড়ির বিষয়টির সুরাহার হওয়ার আগে নতুন করে সুন্দরবনের মধু জিআই সনদ নিয়ে গেছে ভারত। এটি আরও উদ্বেগের বিষয়।

তিনি বলেন, গত ১৬ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের একটি টুইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সুন্দরবনের মধুর জিআই সনদ ভারতের। এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে জিআইর সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের সম্ভাব্য উপায়গুলো খুঁজে বের করতে হবে। এ ইস্যুতে দুই দেশের ভবিষ্যৎ উত্তেজনা এড়াতে আইনি কাঠামো তৈরি করা উচিত।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ২০২১ সালের ১২ জুলাই সুন্দরবনের মধুর জিআই সনদের জন্য আবেদন করেছিল। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি জিআই পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ভারত।

শেয়ার করুন