জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও টেকসই নগর উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড ষ্ট্রাটেজিক ষ্টাডিজ অডিটোরিয়ামে “মেকিং সিটিজ সাসটেইনেবল : চ্যালেঞ্জেস এন্ড ইম্পেরিটিভস ফর বাংলাদেশ ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নগরায়নের ক্ষেত্রে জলাধার সংরক্ষণ, কৃষিজমি রক্ষা, পর্যাপ্ত বনায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, রিনিউয়েবল জ্বালানীর ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার সর্বোপরি গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলজির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন যেমন ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, জলাধার সংরক্ষণ আইনসহ বিদ্যমান সকল আইন কানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে দেশের কল্যাণ সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে, দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে টেকসই নগর নীতি বাস্তবায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার কাজে সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের একাধিক সংস্থা কাজ করছে। এসব দপ্তর সংস্থার কাজে কার্যকর ও সুষম সমন্বয় প্রয়োজন। সকলে স্মমিলিতভাবে একটি সুন্দর, পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পরিকল্পিত নগরানে সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি-ভিত্তিক অভিযোজনের পাশাপাশি বনায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
সেমিনারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ আবু বকর সিদ্দিক খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ডঃ খন্দকার শাব্বির আহমেদ, বিশ্ব ব্যাংকের নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ঈশিতা আলম অবনী এবং বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।