যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমারের মধ্যে চূড়ান্ত টেলিভিশন বিতর্ক সমতায় শেষ হয়েছে। বিতর্কে তারা স্বাস্থ্য খাত, অভিবাসন, সামাজিক নীতিসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। খবর আল জাজিরার।
আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে পিছিয়ে থাকা কনজারভেটিভ পার্টির নেতা সুনাকের জন্য এ বিতর্ক ছিল নিজেকে তুলে ধরার অন্যতম সুযোগ। পাশাপাশি এটি ব্রিটিশ জনগনের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ বাড়ানোর সুযোগ করে দেয় লেবার নেতা স্টারমারকে।
বিতর্কে সুনাকের অভিযোগ, অভিবাসিদের সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা নিয়ে স্টারমার ব্রিটিশদের বোকা বানাচ্ছেন। অপরদিকে স্টারমার বলেন, ব্রিটেনের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তি সুনাক ‘জনগনের সান্নিধ্যের’ বাইরেই থাকছেন। তিনি এতোটাই ধনী যে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝার সক্ষমতা তাঁর নেই।
লেবারদের ভোট না দিতে সুনাক বার বার ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান। আর স্টারমার বলেন, এ নির্বাচন ভোটারদের জন্য ১৪ বছর ধরে চলা রক্ষণশীলদের কৃচ্ছতা সাধন, বেক্সিট ও দলীয় অন্তঃকোন্দলের ইতি ঘটানোর সুবর্ণ সুযোগ।
নটিংহ্যাম শহরে বুধবার রাতে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিবিসির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মিশাল হোসেইনের সঞ্চলনায় বিতর্ক সমতায় শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে জরিপ সংস্থা ইউগভ। উভয় নেতা ৫০ পয়েন্ট করে পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে যেসব জনমত জরিপ প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোতে বড় ব্যবদানে এগিয়ে রাখা হয়েছে বিরোধী লেবার পার্টিকে। এমন কী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও তাঁর আসনে হেরে যেতে পারেন বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত দ্য পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশটির ভেতরে ও বাইরে লোকজনের মধ্যে আগ্রহে ভাটা দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনে ব্রিটিশ জনগণের মূল দাবিগুলো নিয়ে কম কথা বলছেন রাজনীতিবিদরা।