উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে আবারও তিস্তার পানি বাড়ছে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়ে। তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানিতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করেছে।
হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, চারদিন পর আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে এই ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করেছে। হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এরইমধ্যে নদগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় দশটি পরিবারের ঘরবাড়ি। বিষয়গুলো আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গতকাল থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।