যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন পলিসি তৈরিতে বাংলাদেশ পরামর্শ দেবে : মোমেন

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা আর পরামর্শ নেওয়ার অবস্থায় নেই। আমরা এখন পরামর্শ দিতে পারি। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন পলিসি কী হওয়া উচিত প্রয়োজনে সে বিষয়ে বাংলাদেশ পরামর্শ দেবে।

শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আওয়ামীলীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি) সভাটির আয়োজন করে।

ড. মোমেন বলেন, আগামী পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী হবে এটা নিয়ে ভাবার সময় এখন এসেছে। কারণ পৃথিবী ঘিরে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বিরাজ করছে। তাই আমাদের এডুকেশন রিসার্চের গবেষণা করা উচিত যে, বিশ্বের ভবিষ্যৎ কী ধরনের হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এজন্যই আমাদের প্রয়োজন আছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতি আমাদের দাবি এই অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে মানুষের মনমানসিকতা ও সংস্কৃতির বিকাশে সেই টাকাগুলো খরচ করা হোক।

আজকে যারা গবেষণা করে তাদেরকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কীভাবে ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে এই অর্থ মানুষের বিকাশের জন্য কাজে লাগিয়ে পৃথিবীতে সুন্দর একটা রূপ দেওয়া যায় এটা নিয়েও ভাবতে হবে।

পশ্চিমা বিশ্বের ফ্রি থিংকিং-এর পরিধি সীমিত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, সম্প্রীতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আমাকে দাওয়াত দেয়, জিও পলিটিক্সের বিষয়ে আলোচনা করতে। তারপর তারা আমাকে শর্তও দিয়ে দেয় যে, আপনি গাজা এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোনো কথা বলবেন না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে উন্মুক্তভাবে সকল কিছু আলোচনা করা যায়। তারা এখন কতটা ন্যারো মাইন্ডেড হয়ে গেছে এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।

মোমেন বলেন, ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরি করেছে। শুধু দেশ তৈরি নয়, সেই দেশটাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই করেছে। এজন্য ধন্য শেখ হাসিনা এবং ধন্য তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।

মূল আলোচেক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।

শেয়ার করুন