আগের ম্যাচের একাদশ থেকে ৯ জনকে পরিবর্তন করে নিয়মরক্ষার ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে খেলতে নেমেছে আর্জেন্টিনা। দলে ছিলেন না মেসিসহ অন্য বড় তারকারা।
মূল খেলোয়াড় ছাড়াও যে আর্জেন্টিনা শক্তিশালী তা আবারও প্রমাণ করলো তারা। লাওতারো মার্টিনেজের জোড়া গোলে পেরুকে ২-০ ব্যবধানে হারালো আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচে পেনাল্টি পেলেও পারেদেস গোল করতে ব্যর্থ হন, ফলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
শুরুতেই বল দখলে এগিয়ে থেকে পেরুর ওপর চাপ বাড়াতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পেরু। কার্লোস জামব্রানোর হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়৷
২৭ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। পারেদেসের দূরপাল্লার ফ্রি-কিক দারুণভাবে তালুবন্দি করেন পেরু গোলরক্ষক গালেসে।
৩৭ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। এবার ওতামেন্দির হেড চলে যায় বাইরে দিয়ে। ৪১ মিনিটে ডি মারিয়া বাঁ-পায়ের শট নিলে সেটি রুখে দেন গালেসে। পুরো ৪৫ মিনিটে আর্জেন্টিনা ৭৯ শতাংশ বল নিজেদের দখলে নিয়েও গোল পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ বাড়ায় আর্জেন্টিনা। এর ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ৪৭তম মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ডিফেন্স চেরা পাস থেকে ডি-বক্সের ভেতর গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে চিপ শটে গোল করেন লাওতারো।
১৯৯১ সালে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার পর প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে কোপার টানা তিন ম্যাচে তিন গোল করলেন মার্টিনেজ।
৫৫ মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনা গোল করে কর্নার থেকে। কিন্তু রেফারি ডি-বক্সের ভেতর পেরুর পক্ষে ফাউলের নির্দেশনা দেন। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা।
গঞ্জালো মন্টিয়েল ডি-বক্সের ভেতর ক্রস করতে গেলে বল পেরুর কাস্তিলোর হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল দিতে ব্যর্থ হন পারেদেস।
৮৪ মিনিটে মার্টিনেজের আরও একটি শট রুখে দেন পেরুর গোলকিপার। তবে ৮৬ মিনিটে তাকে আর কেউ রুখতে পারেনি। আবারও গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ শটে গোল করেন লাওতারো। টুর্নামেন্টে এটি তার চতুর্থ গোল।
শেষ পর্যন্ত সেই ২-০ গোলের জয়েই টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত করে গ্রুপসেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।