সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য নদ-নদীর পানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে অন্য নদ-নদীর পানি আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রোববার বিকেল চারটা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা সিলেট বিভাগের ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি) থেকে অতি ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের ওপরে) বৃষ্টি হতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২ জুন থেকে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর ওই পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি কমেছে মাত্র ১ সেন্টিমিটার। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, দুটি নদীর পানি এসে কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মেলে। এতে অন্য নদ-নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারার পানি বাড়ে। একই কারণে পানি ধীরগতিতে নামে। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানি ধীরগতিতে নামছে। তবে বৃষ্টি হলে ও পাহাড়ি ঢল নামলে পানির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।