দুর্নীতির ‘মহানায়কেরা’ সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বড় বড় সরকারি পদে অধিষ্ঠিত থাকলেন কীভাবে—এ প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেছেন, তথাকথিত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সব সময় সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। সংস্থাটির শক্ত মেরুদণ্ড নেই। ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি আলোচিত দুর্নীতির ঘটনাগুলো সম্পর্কে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমান ডামি সরকার বলছে, দুদক স্বাধীন সংস্থা। কিন্তু আজকাল সংবাদপত্রের পাতায় দৃষ্টি দিলেই বেনজীর, মতিউর, আছাদুজ্জামান, আরও কত নাম দেখা যাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সত্যিকারের স্বাধীন হলে এসব দুর্নীতির মহানায়কেরা সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বড় বড় সরকারি পদে অধিষ্ঠিত থাকলেন কীভাবে? এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে, তথাকথিত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে; কমিশনের শক্ত মেরুদণ্ড নেই।’
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেমন পিন্ডির বশ্যতা মানেনি, তেমনি কখনোই দিল্লির বশ্যতা মানেনি এবং ভবিষ্যতেও মানবে না। অসংখ্য আত্মদানের মধ্য দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা যাবে না। বিএনপি শাসন আমলে কোনো ট্রানজিট আদায় করা ভারতের পক্ষে সম্ভব হয়নি।