ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার ৫০০ কোটি ডলার বাঁচবে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দেশটির প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এই তথ্য জানিয়েছেন। এই ফান্ড ডলারের রিজার্ভ ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিকভাবে সংকটে থাকা দেশটি গত সপ্তাহে চীন ও অন্যান্য দাতাদের সঙ্গে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠনের চুক্তি করেছে। ১৫ মাস ধরে আলোচনার পর এই চুক্তি করতে সক্ষম হয় দেশটি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। তখন দ্বীপ রাষ্ট্রটির রিজার্ভ কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায় এবং প্রথমবারের মতো ঋণ খেলাপি হয়।
বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, চুক্তি থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবে শ্রীলঙ্কা। কারণ পেমেন্টের তারিখ আরও আট বছর বাড়িয়ে ২০৪৩ সাল করা হয়েছে। তাছাড়া সুদের হারও অ্যাডজাস্ট করে ২ দশমিক ১ শতাংশ বা তারও কম করা হয়েছে।
সংসদে দেওয়া এক ভাষণে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য বন্ডহোল্ডারদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে এবং তা দ্রুতই সমাধান হবে।
শ্রীলঙ্কার মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৩৭ বিলিয়ন ডলার। যখন সম্পূর্ণ ঋণ পুনর্গঠন হবে তখন দেশটির ঋণের বোঝা কমবে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার।
শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল দুই দশমিক ৩ শতাংশ।