আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আদালত কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ফের আপিল করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার।
সোমবার (৮ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বণ্টন পদ্ধতি নিয়ে ফের অসন্তোষ বেড়েছে। এ পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সাড়ে পাঁচ বছর পর আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল সারাদেশ। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিনই অবস্থান নিয়ে দাবি-দাওয়া জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি—২০১৮ সালের কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল করা হোক। একই সঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে অহিদুল ইসলাম তুষার উচ্চ আদালতে ২০২১ সালে রিট মামলা করেন। এ মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন।
ওইদিন থেকেই ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জগন্নাথ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। তারা ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেওয়া পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি জানান।