সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রেলপথে অবস্থান নেওয়ার কারণে ট্রেন চলাচল করতে পারছে না।
রেলওয়ে সূত্র মত ও পথকে জানিয়েছে, মহাখালীর কাছে রেলপথে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেওয়ার কারণে দুপুর থেকে ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছাড়া যাচ্ছে না। এ সময় ঢাকামুখী ট্রেনগুলো বিভিন্ন স্টেশনে আটকে আছে। ফলে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছে।
ঢাকা থেকে দুপুরের পর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, মহানগর, বনলতা, উপকূল এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি , চট্টলা এক্সপ্রেস, কালনী ও যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এসব আন্তনগর ট্রেন রেলপথে অবরোধ থাকায় কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি। এর মধ্যে বনলতা ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ঢাকার কাছাকাছি বসিয়ে রাখা হয়েছে। বনলতা রাজশাহী থেকে এবং সুবর্ণ চট্টগ্রাম থেকে এসে কমলাপুর থেকে পুনরায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা।
রেলের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় মহাখালীর কাছে রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করার খবর পেয়েছেন তারা। এর ফলে সারাদেশেই ট্রেন চলাচল অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ট্রেন চলাচল করে।
অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলে ভৈরববাজার হয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেটের পথে ট্রেন চলে। গাজীপুর হয়ে ট্রেন যায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে। পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর, রাজবাড়ীসহ কিছু জেলার ট্রেন চলাচল করছে।
ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৮২টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এর বাইরে ৪৮টি মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া করে। কমলাপুর থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর মধ্যে কোনো স্থানে ট্রেন চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে সারাদেশের সঙ্গেই রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলের নির্দিষ্ট কিছু সীমা আছে। অবরোধের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে সব ট্রেন জায়গায় জায়গায় আটকে আছে। অবরোধ ছাড়লেও জমে থাকা ট্রেন একবারে চলাচল করা সম্ভব হবে না। এর জেরে আগামীকাল পর্যন্ত ট্রেনের সূচি বিপর্যয় হতে পারে।
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী মত ও পথকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে রেলপথ অবরোধ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। রেলপথ পরিষ্কার না হলে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে না।