কোটাবিরোধী আন্দোলন ও আওয়ামী লীগে পদবাণিজ্য

মোনায়েম সরকার

মোনায়েম সরকার
মোনায়েম সরকার। ফাইল ছবি

বিভিন্ন ধরনের আন্দোলনে দেশে কিছুটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল রয়েছে পেনশন নীতি পরিবর্তনের দাবিতে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও তা হয়নি।

তিন দাবি পূরণের লক্ষ্যে দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারীরা একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন।

শিক্ষকদের তিন দফা হলো :

১. সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বাদ রেখে আগের মতোই পেনশন ব্যবস্থা চালু রাখা, ২. সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবরা যে গ্রেডে বেতন পান) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং ৩. শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো। গত ১ জুলাই থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালের মতোই কোটাবিরোধী আন্দোলন বেগবান হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আন্দোলনকারীরা দেশ অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোভাবও আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে মনে হয় না। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার পক্ষে-বিপক্ষে মত আছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে। এতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির ভূমিকা কতটা সে বিষয়টিও অনেকের ভাবনায় আছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে যে ধরনের বিদ্বেষ প্রচার করা হয় তা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত সে প্রশ্নও আছে। মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা শেষেই কোটার প্রসঙ্গ আসে। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মেধাহীনরা চাকরি পায় বলে যে প্রচার তা যথাযথ নয়।

সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করি। আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে একদিকে পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, অন্য দিকে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে। সরকার বিরোধীরা এইসব আন্দোলনে ঢুকে স্যাবোটাজ করতে পারে।

এবার অন্য একটি বিষয়ে আমার কিছু প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই। আমি এখন রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় না হলেও রাজনীতিই আমার সারাক্ষণের ভাবনাচিন্তায় থাকে। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির পক্ষে সেটাও সবার জানা। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগকে একটি সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবেই দেখতে চাই। আমি আওয়ামী লীগের যেকোনো বদনামে বেদনাবোধ করি। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ধারা থেকে বিচ্যুত হলে আমি দুঃখ পাই। সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য পাই যা আমাকে আশাহত করে।

আওয়ামী লীগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার অন্তর্গত থানা ও ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্র থেকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পর গত জুন মাসে উত্তর ও দক্ষিণ শাখার পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই জমা দেওয়া প্রস্তাবিত কমিটিতে পদবাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার নেতারা।

অভিযোগকারী নেতারা বলছেন, প্রস্তাবিত কমিটিতে দলের দুর্দিনের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিতর্কিত, চিহ্নিত অপরাধী, মাদক কারবারি, মামলার আসামি, রাজাকার পরিবারের সন্তান ও হাইব্রিড নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা বলছেন, বিষয়গুলো বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রমাণসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছেও লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত কমিটির অনুমোদন না দিয়ে বিতর্কিতদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ত্যাগী নেতারা।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ২০ নম্বর ওয়ার্ড রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলে এখন তুমুল আলোচনা চলছে এই ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটির দুই নেতাকে নিয়ে। এলাকায় অনুসন্ধান করে জানা গেছে, শাহবাগ থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হাসান মাহমুদ ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী যুবদলের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ইউনিট কমিটির নেতা ছিলেন।

২০০৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। প্রস্তাবিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত শাহজালাল সোহেল কখনও দলের কোনো কমিটি বা পদে ছিলেন না। ২০০১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত প্রবাসে থাকা সোহেল দেশে ফিরে রাজনীতিতে যুক্ত হন। অভিযোগ রয়েছে, ক্যাসিনোকাণ্ডেও তিনি যুক্ত ছিলেন। মাদক মামলার আসামিও তিনি।

শাহবাগ থানায় সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে মোহাম্মদ শহীদের নাম। এ নাম প্রস্তাব নিয়েও চলছে ব্যাপক বিতর্ক। ক্ষুব্ধ অভিযোগকারীরা জানাচ্ছেন, শহীদের আপন ভাই মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও নাশকতা মামলার আসামি।

মতিঝিল থানার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে প্রস্তাব করা হয়েছে শাহিনুর রহমান শাহীনের নাম। যার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে এবং এ-সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা চলমান। ক্যাসিনো ব্যবসায় সম্পৃক্ত শাহীন বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ওয়াহিদের নাম। তিনি দলের দক্ষিণ শাখার সভাপতি মন্নাফীর ছেলে আহমেদ ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গৌরবের সঙ্গে সমঝোতা করে ওয়াহিদ পদ বাগিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় একাধিক নেতা।

রাজধানীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পল্টনের প্রস্তাবিত কমিটি নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। পল্টন থানা কমিটিতে ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডের জন্য কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত মোস্তবা জামান পপিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া এই থানার অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে আ ফ ম ইফতেখার রহমান জয়ের নাম। মাদকের মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধেও।

ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭ এর অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডেও পদবাণিজ্যের মাধ্যমে বিতর্কিতদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। পদ পাওয়ার জন্য কারো কারো কাছে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে শোনা যাচ্ছে।

৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হিসেবে সদরঘাট এলাকার বিতর্কিত ব্যক্তি জাবেদ হোসেন মিঠুর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ সদরঘাট এলাকার বিভিন্ন অপরাধকাজে অভিযুক্ত মিঠুর বিরুদ্ধে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হয়েছে। মিঠুর নানা অপকর্মের তথ্যসংবলিত লিখিত অভিযোগপত্র দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে এরই মধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে।

৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সদ্যসাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির রায়হান সজলের নাম। ‘মাই ম্যান’ রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে তার মতো ‘২৭-২৮ বছর বয়সি একজনের নাম’।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৪৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের সদস্য। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের বই ‘শান্তি কমিটি ১৯৭১’-এর ২৮৮ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, শরাফতগঞ্জ ইউনিয়ন শান্তি কমিটির নেতা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। আর এই গিয়াস উদ্দিন হচ্ছেন কমিটির প্রস্তাবিত সভাপতি হাসান আসকারির আপন মামা এবং প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহার আপন চাচা। অর্থাৎ প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। তারা পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দাও। এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে প্রস্তাবিত সভাপতি হাসান আসকারির বিরুদ্ধে।

কেন্দ্রের কাছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ছেলে, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী গৌরবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ওয়ার্ড শাখার সভাপতি হিসেবে। অন্যদিকে লালবাগ থানার সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের নাম। যিনি দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের ভাই। আবার হুমায়ুন কবিরেরই আপন ভাগনে বখতিয়ার হোসেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।

দক্ষিণের মতো উত্তরের কমিটি নিয়েও নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পদবাণিজ্যের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিওটিতে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা আকবর আলী পদ পেতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। কথোপকথনে উত্তরের সভাপতিকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করতে শোনা গেছে। এর আগেও খোদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একে অপরের বিরুদ্ধে পদবাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন।

২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হন এসএম মান্নান কচি। অন্যদিকে দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন যথাক্রমে আবু আহমেদ মন্নাফী ও মো. হুমায়ুন কবির। মহানগরের বর্তমান এই কমিটির মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হয়েছে। মহানগরের নেতারা ২০২১ ও ২০২২ সালে উত্তরের ২৬টি থানা ও ৬৪টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণের ২৪টি থানা ও ৭৫টি ওয়ার্ডসহ ইউনিট কমিটিগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করেন। কিন্তু সম্মেলন শেষ হলেও কমিটি দিতে পারছিলেন না দায়িত্বশীল নেতারা।

আওয়ামী লীগ দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। এই দলের ঐতিহ্যে কালি মাখানোর অপচেষ্টা চলতে থাকলে সেটা বঙ্গবন্ধুকে মহিমান্বিত করবে না। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের এটা বুঝতে হবে।

আমি আশা করবো, জননেত্রী শেখ হাসিনা এইসব অভিযোগ আমলে নেবেন এবং খোঁজ-খবর নিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করবেন। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে এক অর্থে পুনর্জন্ম দিয়েছেন। এখন তার সময়ে দলের কমিটিতে যদি টাকা দিয়ে পদ কেনাবেচা হয়, তাহলে তারচেয়ে বড় আফসোসের আর কিছু হতে পারে না। তাকে কঠিন অবস্থানে যেতেই হবে।

০৮ জুলাই, ২০২৪

লেখক : রাজনীতিবিদ, কলামিস্ট ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ

শেয়ার করুন