শেয়ারবাজারে নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা আবার সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে প্রায় চার হাজার নিষ্ক্রিয় বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব সক্রিয় হয়েছে। তাতে বাজারে বেড়েছে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা। নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করায় শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যাও কমে গেছে। শেয়ারবাজারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে শেয়ার আছে, এমন বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ১৬৮টিতে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে অর্থাৎ ৪ জুলাই এ সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ২ হাজার ৩৪৬। সেই হিসাবে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে শেয়ার আছে, এমন বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৮২২টি।
গত সপ্তাহ শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দৈনিক গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ বা ২৭৪ কোটি টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট বেড়ে সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লেনদেন ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকায় নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বাজারে সক্রিয় হয়েছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে সিডিবিএলের হিসাবে, গত সপ্তাহ শেষে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা কমেছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজারে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৭৭। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১টিতে। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫৩৬টি কমেছে।