সরকারি চাকরিতে কোটা বিষয়ে আন্দোলনকারীদের স্বাধীনতা বিরোধী স্লোগানের নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (সুপ্রিম কোর্ট বার)। সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ মঙ্গলবার নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির দুই সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ দুই সহসম্পাদকসহ কমিটির ১০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছেন, কোটা প্রথা বাতিলের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এ বিষয়ে হাইকোর্ট রায়ও ইতোমধ্যে হয়েছে। জেলা, মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য কোটার হার কি হবে- তা নির্ধারণ করবে সরকার, অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগ, যা এ রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে।
হাইকোর্ট রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগে সিএমপি দায়ের করা হয়। শুনানি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টির ওপর স্থিতি অবস্থা জারি করেছে। আগামী ৭ আগস্ট বিষয়টি আবার শুনানির জন্য থাকবে। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের দাবি জানানো অবাস্তব। এটি নিয়ে আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই, এটি প্রজ্ঞাপন দিয়েই যথেষ্ট বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক।
শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, এ দাবি অসাংবিধানিক। এটি মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক বলেন, চীন সফরকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কোটা বিষয়ে আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী স্লোগান দেওয়া লজ্জাস্কর। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত প্রগতিশীল আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান অত্যন্ত লজ্জাস্কর।
এই স্লোগানের নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে সম্পাদক বলেন, কোটা বিরোধীরা এখন রাজাকার হিসেবেই আন্দোলনটি চালিয়ে নিতে চান। প্রভাবিত হয়ে তারা আন্দোলনটি করছেন। অশুভ শক্তি সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী স্লোগানের পর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি মুক্তিযুদ্ধের সন্তান যারা, তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক।