ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।
মূলত সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে চলছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতির কথা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। বুধবার ফোরজি ও থ্রি জি পাওয়া গেলেও বৃহস্পতিবার ইন্টারনেটের গতি নেমে এসেছে টুজিতে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী পলক জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি, পরিস্থিতি বুঝে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বুধবার থেকে হঠাৎ করেই মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া ও ঠিকমতো ইন্টারনেটের গতি না পাওয়ার অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশ করতে পারেননি অনেকেই। বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সব মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট ধীরগতিতে চলার তথ্য দিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।