ঢাকার রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) গেটে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালের দিকে রামপুরা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। নিহত হয়েছেন একজন গাড়িচালক। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কাউকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ করে তারা শাটডাউন পালন করছিলেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি (রাবার বুলেট) চালিয়ে আক্রমণ করেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (১টা ৪৭ মিনিট) পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, রামপুরা থেকে বাড্ডা পর্যন্ত পুরো সড়ক রয়েছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দখলে। বাঁশ, লোহার রড নিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থা নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আশপাশের বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষ।
এ দিকে পুলিশ অবস্থান নিয়েছেন বাড্ডা হাতিরঝিল সংযোগ সড়কে। সেখান থেকে মাঝে মাঝে বের হয়ে এসে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছেন। আর শিক্ষার্থীদের একটি দল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে, একটি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উলটা পাশের গলিতে অবস্থান নিয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হলে পুলিশ পিছু হটে। পরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে যায় পুলিশ। বাইরে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।