নাশকতাকারীদের এবার সহজে ছাড় নয়, কঠোর হাতে দমন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের এবার সহজে ছাড়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীরা দেশব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে সরকার পতনের চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কঠোর হাতে নাশকতা দমন করা হবে।

দেশব্যাপী চলমান কারফিউর মধ্যে সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির জঙ্গি দল। তারাসহ বিএনপির সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যান করে নাশকতা চালিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভর করে গলা কেটে, মানুষ হত্যা, হাত কাটা, পা কাটা, ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া, ডাটা সেন্টার ও ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জ্বালাও-পোড়াও করেছে। তাদের অস্ত্র ও অর্থ কোথা থেকে এল। তাদের উদ্দেশ্য কী? এবার তাদের অত সহজে ছাড়া হবে না। কঠোর হাতে দমন করা হবে।

তিনি বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কারফিউ দিতে বাধ্য হয়েছি। আমি তো কখনো এটা চাইনি। ছাত্ররা যখন বলল, অগ্নিসন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াওয়ে তারা জড়িত নয়। তখনই আমি আর্মি নামিয়েছি। এর আগে নামাইনি। আমি কারফিউ দিতে বাধ্য হয়েছি মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য।

তিনি বলেন, আমরা শেষ চেষ্টা করি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে। কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েছি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমার দল করে না, তারাও ভালো ব্যবসা করে যাচ্ছে। আমি ব্যবসায় কখনো হাত দিইনি। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দিয়েছি।

চলমান অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে পরিবেশ উন্নত করা হবে। যে অবস্থা ছিল, তা এরইমধ্যে আমরা অনেকটা শান্ত করে নিয়ে এসেছি। আস্তে আস্তে আরও ভালো হবে। কারফিউ পর্যায়ক্রমে শিথিল হবে।

বৈঠকে সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। তারা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের আস্থা আছে। সভায় শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক-বিএবির চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

শেয়ার করুন