নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে এই ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে, জানা ছিল আগেই। মালয়েশিয়াকে ১১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সেই পথ সহজ করে ফেলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
যদিও এখনও কাগজে-কলমে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে আছে থাইল্যান্ড। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে রানরেটে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পারলে সম্ভাবনা থাকবে তাদেরও। তবে আপাতদৃষ্টিতে এই সমীকরণ মেলানো প্রায় অসম্ভব। কেননা বাংলাদেশের রানরেট এখন ১.৯৭, থাইল্যান্ডের ০.০৯।
ডাম্বুলায় ১৯২ রানের বড় লক্ষ্যে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লড়াইও করতে পারেনি মালয়েশিয়া। ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ৭৭ রানেই থেমেছে তাদের ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নামা মালয়েশিয়ার ইনিংসে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন জাহানারা আলম। তখনও দলের খাতায় কোনো রান যোগ করতে পারেনি তারা।
ওপেনার ওয়ান জুলিয়া আর ওয়ান ডাউন এলসা হান্টার একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। হান্টারকে (২৩ বলে ২০) নাহিদা আক্তার নিজের বলেই ক্যাচ বানান। জুলিয়াকে (২৫ বলে ১১) বোল্ড করেন রিতু মনি।
নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে মালয়েশিয়া। মাঝে মাহিরাহ ইজ্জাতি ২৫ বলে ১৫ করেন। বাকিদের কেউ দশের ঘরও ছুঁতে পারেননি।
বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার দুটি, জাহানারা আলম, সাবিকুন নাহার, রাবেয়া খান, রিতু মনি ও স্বর্ণা আক্তার নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে মুর্শিদা খাতুন আর নিগার সুলতানা জ্যোতির জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২ উইকেটে ১৯১ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারকুটে খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। ৪৬ বলের ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান তোলেন দিলারা আক্তার আর মুর্শিদা খাতুন। ২০ বলে ৩৩ করে আউট হন দিলারা।
তবে মুর্শিদা আর নিগার মিলে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। ৫৬ বলে ৮৯ রান যোগ করেন তারা। মুর্শিদা যেভাবে খেলছিলেন সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। তবে ব্যক্তিগত ৮০ রানে থামতে হয় তাকে। ৫৯ বলের ইনিংসে ১০টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার।
এরপর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন নিগার সুলতানা। বাংলাদেশ অধিনায়ক ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৬২ করে। মারকুটে ইনিংসটি তিনি সাজান ৫টি চার আর দুটি ছক্কায়। ৪ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন রুমানা আহমেদ।
শেষ ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলে বাংলাদেশ। এতে করেই দুইশর কাছাকাছি সংগ্রহ গড়া হয়ে গেছে টাইগ্রেসদের।