কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও চলমান কারফিউয়ের কারণে পর্যটকশূন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, গেল এক সপ্তাহে কক্সবাজারের পর্যটনের সবখাতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, চলমান কারফিউ ও কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অস্থিরতায় কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার পর্যটন শিল্প। কক্সবাজারে সাড়ে ৪শ হোটেলে ও গেস্ট হাউসে ৭ দিনে ১শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁ ও অন্যান্যগুলোতে ৫০ কোটি টাকা। এভাবেই চলতে থাকলে অনেক হোটেল শ্রমিক তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে পারে।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, প্রতিদিন কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এই মুহূর্তে কক্সবাজারে পর্যটক নেই। যা ছিল, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সেনাবাহিনীর পাহারায় ৭১টি বাসে করে ফিরে গেছে। দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রায় সব হোটেল-মোটেল বন্ধ হয়ে যাবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা যায়, চারদিকে সুনসান নীরবতা। ব্যস্ততা নেই সৈকতের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক-ওয়াটার বাইক চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের। একই সঙ্গে বালিয়াড়িতে খালি পড়ে আছে কিটকটগুলো। হোটেলগুলোতে তালা ঝুলছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, কক্সবাজার এই মুহূর্তে তেমন পর্যটক নেই। যারা কক্সবাজার ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছিল তাদের মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সেনাবাহিনীর পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।