বিক্ষোভ দমনে র্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে। হেলিকপ্টার থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার পাশাপাশি গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে র্যাব বলেছে, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোনো ধরনের গুলি করা হয়নি বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ কথাগুলো বলা হয়।
র্যাবের বার্তায় বলা হয়, সহিংসতা ও নাশকতার সময় দুর্বৃত্তরা আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তখন নিরুপায় হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলাচলের পথ সুগম করতে, জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, রাজধানীর বাড্ডা ও নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে দুর্বৃত্তরা হামলা ও আক্রমণ চালিয়ে সাধারণ জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধের পর ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। ১৮ জুলাই বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনকারীদের আক্রমণের শিকার হয়ে আটকে পড়া ডিএমপির সদস্যরা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাদে অবস্থান নেন। পরে বেলা সোয়া দুইটার দিকে ৬১ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে র্যাবের হেলিকপ্টার। এ ছাড়া ২০ জুলাই র্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহারের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৬ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়।
র্যাব বলছে, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সরকারি স্থাপনা রক্ষা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব ফোর্সেসের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।