দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোটা আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে যান সরকারপ্রধান।
এ সময় তিনি পঙ্গু হাসপাতালে গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের অবস্থা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর (হামলা-সহিংসতার) বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো, এর দায়িত্ব কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সেখান থেকে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। সেতু ভবনে প্রবেশের পর অশ্রুসিক্ত চোখে ভবনটির বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সেতু ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী পরে মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে যান।
গত ১৮ জুলাই একই দিনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবনে নারকীয় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় লুটপাট। গায়েব করা হয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নিতে। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার তিনি হামলার শিকার মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শন করেন।