কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিদের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ১৯৯০ এবং এর পরবর্তী সময়ের সাবেক নেতারা।
শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম। সভা পরিচালনা করেন জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান। সভায় জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহিল কাইয়ুমকে পরবর্তী কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সভায় ৩৮ জন সাবেক ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাবেক ছাত্রনেতারা কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা সাম্প্রতিক ঘটনায় তরুণ শিক্ষার্থী, সাধারণ পথচারী, সাংবাদিক, পুলিশের সদস্য নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। আন্দোলনে আহত চিকিৎসার ব্যয়ভার ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার আহ্বান জানান।
সাবেক ছাত্রনেতারা বলেন, কোটা আন্দোলনকে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিবাদী শক্তি সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসাত্মক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালায়। এর তীব্র নিন্দা জানান তারা। নেতারা আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় ও নির্দেশনার আলোকে সরকার দ্রুত পরিপত্র জারি করে সমস্যার সমাধান করেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে অর্জিত বিজয় ধরে রেখে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান সাবেক ছাত্রনেতারা।
কোটা আন্দোলন হাইজ্যাক করে বিএনপি-জামায়াত অপরাজনীতি মোকাবিলায় সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয় সাবেক ছাত্রনেতাদের সভা থেকে।
সভায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইছহাক আলী খান, সাইফুজ্জামান শিখর, বাহাদুর বেপারি, পঙ্কজ নাথ, নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দীন ফরাজী, গাজী মোজবাউল হোসেন, আফজালুর রহমান, গোলাম রাব্বানী প্রমুখ। বক্তব্য দেন জাসদ ছাত্রলীগের মোহাম্মদ মোহসীন, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, শরিফুল কবির, জিয়াউল হক, আলী হাসান, সাজ্জাদ হোসেন, সামসুল ইসলাম প্রমুখ।
ছাত্র মৈত্রীর সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন মোস্তফা আলমগীর ও সাব্বাহ আলী। ছাত্র আন্দোলনের মোশাহিদ আহমেদ, ছাত্র কেন্দ্রের রাজু আহমেদ, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের অশোক ধর বক্তব্য দেন।