২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ বেড়েছে ৭০ শতাংশ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মুসলিমদের ওপর হামলা ও বৈষম্যের বিভিন্ন ঘটনা।
মার্কিন মুসলিমদের অ্যাডভোকেসি সংস্থা দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (কেয়ার) মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে কেয়ার বলেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মুসলিমবিদ্বেষ, মুসলিমদের ওপর হামলা ও বৈষম্য সংক্রান্ত মোট ৪ হাজার ৯৫১টি অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে কেয়ার।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ সংক্রান্ত যত ঘটনা ঘটেছিল, তার তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস ৭০ শতাংশ বেশি ঘটনা ঘটেছে বলে মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে কেয়ার।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, মূলত নতুন অভিবাসী এবং অন্যান্য দেশ থেকে সম্প্রতি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া মুসলিমরা হামলা-বৈষমের ঘটনা ঘটেছে বেশি। এছাড়া কর্ম ও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য ও ঘৃণামূলক অপরাধের হারও বেড়েছে।
একাধিক সমাজবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ইহুদিবিদ্বেষ বাড়ছে, তেমনি তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাড়ছে মার্কিন মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব।
কেয়ারের কর্মকর্তারা জানান, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত বছর অক্টোবর মাসে দেশটির ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যে ৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-মার্কিন শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে টেক্সাসে একইভাবে হত্যা করা হয়েছে একজন ফিলিস্তিনি-মার্কিন পুরুষকে।
এছাড়া গত নভেম্বরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তিনজন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে, গত মে মাসে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল একজন ফিলিস্তিনি-মার্কিন কিশোরীকে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকেই সেখানে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্দোলন করছেন মার্কিন মুসলিমরা। তাদের মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
কেয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যম, বিদ্বেষের শিকার ব্যক্তিদের ফোনকল, ইমেইল ও অনলাইন কমপ্লায়েন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ তারা রেকর্ড করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স