যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে পৌঁছেছে জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী শাফিন আহমেদের মরদেহ। সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শাফিনের মরদেহবাহী কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।
বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণ করেন শাফিনের বড় ভাই ও মাইলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদসহ পরিবারের সদস্যরা। পরে বিমানবন্দর থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানে তার বাসায়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দাফন করা হবে শাফিন আহমেদকে। বনানী কবরস্থানে শাফিনকে দাফন করা হবে বাবা কমল দাশগুপ্তর কবরে। পাশেই মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবর রয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (২৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শাফিনের মরদেহবাহী কফিন নিয়ে দেশে রওনা হন তার স্ত্রী রুমানা দৌলা।
হামিন আহমেদ জানান, আজ দুপুর ১২টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশান আজাদ মসজিদে। বাদ জোহর জানাজা শেষে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে রাখা হবে কিছু সময়ের জন্য। এরপর বনানী কবরস্থানে শাফিনকে দাফন করা হবে বাবা কমল দাশগুপ্তর কবরে। পাশেই আমাদের মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবর রয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে কুলখানির বিষয়েও। শাফিন আহমেদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কুলখানি হবে শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বনানী কবরস্থানের পাশে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে।
শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত।
শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা…এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।
শাফিন আহমেদ তার বাবা কমল দাশগুপ্তের কিছু গান নিয়েও একক অ্যালবাম করেছিলেন। মাঝখানে কিছুদিন রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েও আলোচনা সৃষ্টি করেছেন। শাফিন আহমেদ স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।